শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় মাছ ধরার জাল চুরি হওয়াকে কেন্দ্র করে মসজিদের মুসল্লিদের ওপর হামলা চালিয়েছে স্থানীয় একলাস, জাফর ও জাকির বিশ্বাস। এতে দুই নারীসহ ১৩ জন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় শনিবার (৯ মে) দুপুরে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন।
এর আগে শুক্রবার (৯ মে) রাত ৯টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ চরদুয়ানী গ্রামের মুসল্লি বাড়ির জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
মসজিদের মুসল্লি লোকমান হোসেন জানান, হানিফা নামের এক জেলে বৃহস্পতিবার রাতে বিলে মাছ ধরার জন্য জাল পাতেন। ওই জাল চুরির অভিযোগ ওঠে একলাস হাওলাদার এবং জাফর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে শুক্রবার সকালে হানিফের সঙ্গে একলাসের কথা কাটাকাটি হয়। পরে শুক্রবার রাতে হানিফা মসজিদে নামাজ পরতে গেলে একলাস, জাফর ও জাকির বিশ্বাস মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া অবস্থায় হানিফাকে মারধর করে। এসময় মুসল্লিরা প্রতিবাদ করতে গেলে তাদেরও মারধর করে।
এ ঘটনায় আহত হন ১৩ জন। এরা হলেন- হানিফা, ইলিয়াচ মুন্সি, ছোবাহান, রাসেদ মুন্সি, রাসেল হাওলাদার, সাব্বির, এমাদুল, রাসেল, মুসা, মজিবর, নবী হোসেন, আম্বিয়া ও শাহেনুর।এদের মধ্যে গুরুতর আহত রাসেল এবং ছাব্বিরকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, জাকির বিশ্বাস সাগরের দস্যু বাহিনীর ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করত। র্যাবের তালিকায় তার নাম রয়েছে। সাগরে দস্যুতা বন্ধ হওয়ার পর সে এলাকায় সন্ত্রাসী চাদাঁবাজি করছেন।
তিনি আরও জানান, এলাকার ছোট বড় এমন কেউ নেই যে তার নির্যাতনের শিকার হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায় জাকির বিশ্বাসের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাথরঘাটা থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন জানান, মাছ ধরার জাল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে মসজিদে গিয়ে মুসল্লিদের ওপর হামলার ঘটনায় (শনিবার) সকালে দক্ষিণ চরদুয়ানী গ্রামের মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারামারি প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উভয়পক্ষের ৫ জনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।